টানা ১১ দিনের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে মানবিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের কর্মকর্তরা।
 
 
এর আগে রমজান মাসে আল-আকসায় হামলা ইসরায়েলি হামলার পর দেশটিতে রকেট হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও আল কায়েদার গাজা শাখা। ১১ দিনের যুদ্ধ শেষে শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসছেন।
 
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা নিজ উদ্যোগেই রাস্তাঘাট থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর ইট-পাথর পরিষ্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
 
 
গতকাল শুক্রবারও ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দু-পক্ষের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি এবং ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহতদের সরিয়ে আনার জন্য করিডোর তৈরি করার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘ বলছে, সর্বশেষ এই যুদ্ধে ৮০ হাজারের মতো মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে।
 
 
ইতোমধ্যেই মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গাজায়। এই ক’দিনের যুদ্ধে সেখানে পানি সরবরাহের অনেক পাইপলাইন ধ্বংস হয়ে গেছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইসরায়েল সীমান্তের একটি জায়গা আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার পর ৫০টির মতো ট্রাক জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাযায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।
 
সাহায্য সংস্থাগুলো অনুমান করছে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরও অবকাঠামো পুনরায় নির্মাণ করতে কোটি কোটি ডলার খরচ হবে এবং এই কাজটি করতে লেগে যাবে কয়েক বছর।
 
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ইসরায়েল এবং অধিকৃত পশ্চিমতীর সফরে যাবেন বলে জানা গেছে। গাজায় অবকাঠামো পুননির্মাণে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
 
১১ দিন পর গাজায় এই প্রথম শুক্রবার রাত ছিল শান্ত। বিবিসি বলছে, ফিলিস্তিনিরা শান্তিপূর্ণভাবেই এই রাতটি পার করেছে। ইসরায়েলের দিক থেকে কোনো বিমান হামলা চালানো হয়নি। যুদ্ধবিরতি বলবৎ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে সেই সমঝোতা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠেনি।